,

কাশিয়ানীর কালনা ফেরিঘাটে শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজি

লিয়াকত হোসেন (লিংকন): গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা ফেরিঘাটে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার থেকে সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ রুট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী যানবাহন থেকে নড়াইল শ্রমিক ইউনিয়নের নামে এ চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চালকেরা।

গাড়ী চালকদের অভিযোগ, নড়াইল জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের কথা বলে প্রতিটি গাড়ী থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে।

গতকাল কালনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ফেরিঘাট এলাকায় কয়েকজন লোক বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ১৫/২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। এ সময় চালকদের হাতে ‘নড়াইল জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন’ লেখা সম্বলিত ২০ টাকার একটি টোকেন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পাশেই বসে আছেন কয়েকজন শ্রমিক নেতা।

চাঁদা না দিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ী আটকে রেখে হয়রানী করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের। এতে পরিবহন যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

ট্রাক চালক মাহাবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘এ পথে যাতায়াত করতে প্রতিবার সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনকে ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনের কাছে চরম নাজেহাল হতে হয়। তাই নড়াইল শ্রমিক ইউনিয়নের নামে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

চাঁদা আদায়কারী মো. তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি দৈনিক মজুরী হিসেবে গাড়ী থেকে নড়াইল জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের টাকা কালেকশন করে দেই। তবে আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারি না।’

নড়াইল জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক খান কালনা ফেরিঘাটে চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘাটে সিরিয়াল মতো ফেরিতে উঠতে হয়। ফেরিতে আগে উঠা নিয়ে প্রায়ই বাস-ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যে দন্দ্ব হয়। যার কারণে ঘাটে যানবাহনের সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের জন্য দশ টাকা করে নেয়া হয়।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর-সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন ভূঞা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি বিষয়টি ওসি সাহেবকে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবো।’

এই বিভাগের আরও খবর